আধুনিক স্বাস্থ্যসচেতনতা: ৫টি অভ্যাস গড়ে তুলুন

0

আজকের ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকা মানেই ‍নিজেকে নিয়মিত সময় দেওয়া। আমরা সবকিছুতেই সময় বরাদ্দ রাখলেও নিজের জন্য যেন কোন সময় এই অবশিষ্ট নেই। চাকুরী, ব্যবসা আমাদের জীবনের চলার পাথেয় তৈরি করে দেয়, কিন্ত সুস্থ্যতার জন্য স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গতে তোলার বিকল্প নেই।

নিচের ৫টি অভ্যাস হয়ে ওঠতে পারে আপনার স্বাস্থ্যকর জীবনের ভিত্তি:

নিয়মিত ব্যায়াম

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করুন – হেঁটে, দৌড়ে বা যোগব্যায়ামের মাধ্যমে। এটি আপনার শক্তি, স্ট্যামিনা ও মানসিক ফোকাস বাড়াবে। সপ্তাহে ১ দিন গ্যাপ রাখুন। বাহিরে হাঁটা বা জগিং সম্ভব না হলে অন্তত রোপ জাম্পিং এবং খালি হাতের ব্যয়ামগুলো করতে ভুলবেন না।

স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ

আধুনিক লাইফস্টাইল আধুনিক রোগ তথা লাইফস্টাইল ডিজিজ নিয়ে আসে। লাইফস্টাইল ডিজিজ নিয়ে এখুনি সচেতন হোন। ফল, সবজি, প্রোটিন ও পরিমিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফাস্টফুড ও অতিরিক্ত চিনিমুক্ত থাকুন। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে ভুলবেন না।

ডিজিটাল ডিটক্স

প্রতিদিন কিছু সময় স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন। মনকে বিশ্রাম দিন। আপনি একদিনেই এই আসক্তি থেকে বের হতে পারবেন না, তবে প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ আপনাকে ফুলফিল করতেই হবে। এই সময় বই পড়ুন, প্রকৃতি দেখুন, প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

মানসিক যত্ন

স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন, Journaling, বা সৌখিন কোন কিছুতে এনগেইজ হতে পারেন। নিজের আবেগকে গুরুত্ব দিন বিবেকের মানদন্ডে। মানসিক স্বাস্থ্য অবনতি হলে প্রয়োজনে কাউন্সেলিং নিন। অলস মস্তিষ্ক আপনাকে অসচেতন করে তুলে, সুস্থ্য মস্তিষ্ক আপনাকে প্রোডাক্টিভ করে তোলে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

বয়স হলে, অসুস্থ হলেই আমরা ডাক্তারের কাছে যাই। কিন্ত বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য চেকআপ করা উচিত। ব্লাড প্রেসার, সুগার, ওজন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরীক্ষাগুলো করে নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা আমাদের রুটিন হওয়া উচিত।

নিজের যত্ন নিন – সুস্থ্যতার জন্য ভাল অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি নার্চার করুন রেগুলারলি। আপনি ইন একটিভ থাকলে ব্যাড হ্যাবিটগুলো গুড হ্যাবিটের জায়গা দখল করে নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *